কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আজ শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে হেফাজতের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, মুসলমানের স্বার্থ সংরক্ষণে দল–মতনির্বিশেষে, নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ সময় হেফাজত নেতা–কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
হেফাজতের অন্য দাবিগুলো হলো—মামলা প্রত্যাহার, ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করা; কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা; পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাখা; শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি না দেওয়া।
দলের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দুই বছর ধরে হেফাজতের অনেক আলেম-ওলামা বন্দী অবস্থায় কারাগারে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। তাঁদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলো আজ ধ্বংসের মুখে। আলেম-ওলামাদের কেউ কেউ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা নাছিরউদ্দীন মুনিরসহ হেফাজতের নেতা–কর্মীদের মুক্তি চেয়েছেন হেফাজতের মহাসচিব।
বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হেফাজত মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সাদ সাহেবের বাংলাদেশে আসা কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের দাওয়াতে তাবলিগের মধ্যে নজিরবিহীন বিভেদ তৈরি হয়েছে। ঘরে ঘরে, মসজিদে মসজিদে ফ্যাসাদ তৈরি হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, এবারও ইজতেমা উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশে এলে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আবদুল আওয়াল, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী প্রমুখ।