ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ এমনিতেই শক্তিশালী, তার ওপর চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টসভাগ্য পক্ষে চলে যায় সফরকারিদের। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ব্যাটিং বেছে নেওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন, টাইগার বোলারদের প্রথম দিনে বেশ ধুঁকতে হবে।
কিন্তু অনেকের ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে প্রথম দিনে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল-সাকিবরা। ২৭৮ রানে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ, তারপরও আক্ষেপ রয়ে গেছে গুটিকয়েক সুযোগ মিসের।
৪৮ রানে ৩ উইকেট, ১১২ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর দিনটা বাংলাদেশের বোলারদেরই ধরে নিয়েছিলো প্রায় সবাই। কিন্তু চেতেশ্বর পুজারা এবং স্রেয়াশ আয়ার মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৪৯ রানের বড় জুটি গড়ে বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেন।
তবে প্রথম দিনের শেষ ভাগে এসে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে আবার খেলায় ফেরান দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। ৯০ রান করা চেতেশ্বর পুজারাকে ফেরান তাইজুল এবং দিনের একেবারে শেষ বলে অক্ষর প্যাটেলকে এলবিডব্লিউ করেন মিরাজ।
যার ফলে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। বড় বাধা হয়ে ৮২ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ভাগ্যটাও যার সঙ্গে।
প্রথম দিনে দুইবার আইয়ার বেঁচে গেছেন। একটি ক্যাচ ছেড়ে দেন এবাদত হোসেন। ৭৬তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তিনি। আইয়ার তখন ব্যাট করছিলেন ৬৭ রানে।
এরপর ৮৪ তম ওভারে এবাদত হোসেনের বল স্টাম্প ছুঁয়ে যায়। কিন্তু বেল না পড়ার কারণে এবারও বেঁচে যান আইয়ার। পরের ওভারেই আউট হন পুজারা। বাংলাদেশের জন্য যেটি ছিল শেষ বিকেলের স্বস্তি।
৩০ ওভারে ৮ মেডেনসহ ৮৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করে দিনের সেরা বোলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে এসে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘সুযোগগুলো যদি নিতে পারতাম, হয়তো ভারতীয়দের এর মধ্যেই অলআউট করতে পারতাম আমরা।’
প্রথম দিনে সেটা হয়নি। তবে এখনও ভারতকে তিনশোর মধ্যে আটকে দেওয়া সম্ভব। তার জন্য সবার আগে আউট করতে হবে শ্রেয়াস আইয়ারকে। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তিনিই আছেন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ভালো ব্যাট করেন। তবে আইয়ার আউট হয়ে গেলে কুলদ্বীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ কিংবা উমেশ যাদবের মতো লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই করা কঠিনই হবে তার জন্য।