নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের পর নবজাতককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফজলে রাব্বি (৪৫) নামের একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার উপজেলার পশ্চিম গোলমুন্ডা আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ফজলে রাব্বী ওই এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচ সন্তানের বাবা। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সাত বছর আগে স্বামী মারা যান। দুই বছর আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দেবর ফজলে রাব্বী। এরপর বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করতেন তিনি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ফজলে রাব্বী সন্তান নষ্ট করতে বলেন। ওই নারী বাচ্চা নষ্ট করতে চাননি। পরে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান ফজলে রাব্বী। ওই রাতে ভুক্তভোগীর নারীর পেটের ব্যথা শুরু হলে ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে একটি ছেলে জন্ম দেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে ফজলে রাব্বী নবজাতককে ভুক্তভোগী নারীর বসতবাড়ির টিউবওয়েলের পাশের বালুতে পুতে রাখেন। ছেলেকে না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর চিৎকার দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। লোজকজন এসে বালুর নিচ থেকে নবজাতকটি জীবিত উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, অভিযান চালিয়ে আসামি ফজলে রাব্বীকে আটক করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী ও নবজাতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।